Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

শাওয়াল মাসের রোজা রাখার নিয়ম ও ফজিলত

শাওয়াল-মাসের-রোজা-রাখার-নিয়ম-ও-ফজিলত
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে শাওয়াল মাসের রোজা রাখার নিয়ম ও নিয়ত এবং শাওয়াল মাসের রোজার ফজিলত।

শাওয়াল মাসের রোজার ফজিলত

আবূ আইয়ুব (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমজান মাসের সিয়াম রাখার পর শাওয়াল মাসে ছয়টি সিয়াম রাখবে, তা যেন সারা বছর সিয়াম রাখার সমতুল্য। (ইবনে মাজাহ ১৭১৬)

শাওয়াল মাসের রোজা রাখার নিয়ম

শাওয়ালের ৬টি রোজা একটানা না রেখে বিরতি দিয়ে আলাদা আলাদা রাখলেও আদায় হয়ে যাবে। কেউ যদি একটানা রোজা রাখে তাতেও আদায় হয়ে যাবে। কারণ হাদিসের কোনো বর্ণনায় শাওয়ালের ৬ রোজা একসঙ্গে রাখার ব্যাপারে কোনো শর্ত দেওয়া হয়নি।

এক কথায় শাওয়াল মাসের যেকোনো সময় এই রোজা আদায় করা যায়। ধারাবাহিকভাবে বা মাঝেমধ্যে বিরতি দিয়েও আদায় করা যায়।

শাওয়াল মাসের রোজার নিয়ত

সাধারণ নফল রোজার জন্য সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে তারপর নিয়ত করলেও চলে, কিন্তু শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা বিশেষ ধরনের নফল রোজা; তাই এই রোজার জন্য নিয়ত সাহরির সময়ের মধ্যেই করা উত্তম। ঘুমানোর আগে বা তারও আগে যদি এই দিনের রোজার দৃঢ় সংকল্প থাকে, তাহলে নতুন নিয়ত না হলেও চলবে এবং সাহরি না খেতে পারলেও রোজা হবে।

শাওয়াল মাসের ছয় রোজা আগে নাকি কাযা রোজা আগে

রমজানের ছুটে যাওয়া কাজা রোজা পরবর্তী রমজান মাস আসার আগে যেকোনো সময় আদায় করা যাবে। রমজানের কাজা রোজা রাখার জন্য সময় সংকীর্ণ হলে তার আগে নফল রোজা রাখা বৈধ ও শুদ্ধ। সুতরাং ফরজ রোজা কাজা করার আগে নফল রোজা রাখতে পারবেন। তবে সম্ভব হলে আগে ফরজ রোজার কাজা আদায় করাই উত্তম। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ১৬৬)। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমার ওপর রমজানের যে কাজা রোজা বাকি থাকত; তা পরবর্তী শাবান ব্যতীত আমি আদায় করতে পারতাম না।’ (বুখারি: ১৯৫০; মুসলিম: ১১৪৬)।

Share the Post

Rate the Post

Rating Summary

0.0
0.0 out of 5 stars (based on 0 reviews)
Excellent0%
Very good0%
Average0%
Poor0%
Terrible0%

Latest Reviews

There are no reviews yet. Be the first one to write one.

Latest Post

Scroll to Top