Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

রিসালাত শব্দের অর্থ কি? রিসালাতে বিশ্বাস করা গুরুত্বপূর্ণ কেন?

রিসালাত-শব্দের-অর্থ-কি-রিসালাতে-বিশ্বাস-করা-গুরুত্বপূর্ণ-কেন

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে রিসালাত শব্দের অর্থ কি ও রিসালাতে বিশ্বাস করা গুরুত্বপূর্ণ কেন।

রিসালাত শব্দের অর্থ কি

রিসালাত আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ বার্তা, চিঠি বা সংবাদ বহন অথবা কোন শুভ কাজের দায়িত্ব বহন করা।

ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন স্বীয় বান্দাদের হেদায়াত লাভের নিমিত্তে তাদের মধ্য থেকে মনোনীত বান্দাকে আল্লাহর বাণী ও বিধিবিধান মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার যে বিশেষ দায়িত্ব প্রদান করেছেন তাকে রিসালাত বলে।

আর ঐ মনোনিত বান্দা অর্থাৎ যাদেরকে রিসালাতের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারা হলেন রাসূল। মহান আল্লাহ একান্ত স্বীয় ইচ্ছাতেই তাদের মনোনয়ন দিয়ে থাকেন। এ সম্পর্কে কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন,

“অবশ্যই তারা ছিল আমার মনোনীত উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।”[সূরা সোয়াদ, আয়াত: ৪৭]

অতএব, আল্লাহ তা’আলা যাঁদেরকে মনোনীত করেন তাদের মধ্যে দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা ও গুণাবলী জন্মগত ও স্বভাবগতভাবেই সৃষ্টি করে দেন। মক্কার কাফেররা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর রিসালাতের অস্বীকৃতি জানাতে চাইলে অত্যন্ত দীপ্ত কণ্ঠে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন:

“আর আল্লাহ তাঁর রিসালাতের ভার কার ওপর অর্পণ করবেন তা তিনিই ভালো জানেন।” [সূরা আল- আন’আম, আয়াত: ১২৪]

সুতরাং এটি কোনো অর্জনীয় বিষয় নয়। বরং মহান আল্লাহ প্রদত্ত মানবজাতির প্রতি এক সীমাহীন নিয়ামত।

সুতরাং মহান রাব্বুল আলামীনের তরফ থেকে জগতবাসী বিবেক-বুদ্ধি সম্পন্ন জীবের নিকট বার্তা পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমকে বলা হয় রিসালাত। এই দৌত্যকার্য সম্পন্ন করার কাজে দুই-শ্রেণীর লোক নিয়োজিত রয়েছেন। তারা হলেন- ফিরিশতা ও মানুষ, যাদেরকে রাসূল বা দূত হিসেবে অভিহিত করা হয়। আদিকাল হতেই আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক জাতির প্রতিই তাদের হেদায়েতের জন্য সতর্ককারী রাসুল পাঠিয়েছেন। এ মর্মে আল-কুরআনে এসেছে:

“আর এমন কোনো জাতি নেই যাদের কাছে সতর্ককারী বা ভীতি প্রদর্শক প্রেরিত হয় নি।” [সূরা ফাতির, আয়াত: ২৪]

অন্যত্র এসেছে :

“আর প্রত্যেক উম্মতের জন্যই রয়েছে রাসূল।” [সূরা ইউনুস, আয়াত: ৪৭)

রিসালাতে বিশ্বাস করা গুরুত্বপূর্ণ কেন

আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা যেমনি আবশ্যক তেমনিভাবে রিসালাতের প্রতিও ঈমান আনা অপরিহার্য। আমরা আল্লাহর একত্ব, তার অস্তিত্ব এবং পরিচয় নবী-রাসূলগণের মাধ্যমেই জানতে পেরেছি। নবী-রাসূল ও রিসালাতের প্রতি অবিশ্বাস করলে আল্লাহর প্রতিই অবিশ্বাস করা হয়। তাই আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের পাশাপাশি রিসালাতের প্রতিও বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। রিসালাতে বিশ্বাস ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কালিমা শাহাদাতের প্রথম অংশ দ্বারা তাওহীদের ঘোষণা করা হয়েছে আর দ্বিতীয় অংশ দ্বারা রিসালাতের ঘোষণা করা হয়েছে। রিসালাতের প্রতি ঈমান আনা তাওহীদের প্রতি ঈমান আনার মতই অপরিহার্য। মূলত রিসালাতের প্রতি ঈমান তাওহীদের প্রতি ঈমানের একটি অংশ।

Share the Post

Rate the Post

Rating Summary

0.0
0.0 out of 5 stars (based on 0 reviews)
Excellent0%
Very good0%
Average0%
Poor0%
Terrible0%

Latest Reviews

There are no reviews yet. Be the first one to write one.

Related posts

Latest Post

Scroll to Top