ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম এর অর্থ ও ফজিলত

ইয়া-হাইয়ু-ইয়া-কাইয়ুম-এর-অর্থ-ও-ফজিলত

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম অর্থ ও ফজিলত, ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছ, ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম সম্বলিত দোয়া।

ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম

আলী ইবনে আবি তালিব (রা.) বলেন, বদরের যুদ্ধের দিন আমি কিছুক্ষণ যুদ্ধ করে এসে দেখি- নবীজি সাঃ সিজদারত অবস্থায় আছেন আর শুধু বলছেন-

يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ

উচ্চারণ : ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম

অর্থ : হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী

এর বেশি কিছুই বলছেন না।’ এরপর আলি (রা.) আবার যুদ্ধ করতে চলে যান। আবার ফিরে আসেন; এসে দেখেন— নবীজি একই অবস্থায় আছেন। এভাবে কয়েকবার এসে তিনি একই অবস্থায় পেয়েছেন। অতঃপর আল্লাহ তাআলা নবী (সা.)-কে বিজয় দান করেন। (ইমাম হাইসামি, মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদিস : ১০/১৪৭; ইমাম হাইসামি (রহ.) বলেন, হাদিসটির সনদ হাসান)।

ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছ

আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সামনে কোনো কঠিন কাজ উপস্থিত হলে তিনি নিম্নোক্ত দোয়া পড়তেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫২৪)

يَا حَىُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيثُ

উচ্চারণ : ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিস।

অর্থ : হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী! আপনার রহমতের অসিলায় আমি সাহায্য কামনা করছি।

ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম সম্বলিত দোয়া

ইমাম আহমদ, আবু দাউদ, ইবনে হিব্বান এবং হাকীম হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি একবার রাসূলুল্লাহ (সা) এর মজলিসে বসা ছিলেন। এক ব্যক্তি নামায পড়লো এবং নামাযের পর দুআ করলো-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيكَ لك الْمَنَّانُ بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ، يَا ذَا الْجَلالِ وَالإِكْرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আস-আলুকা বি-আন্না লাকাল হা’মদু লা-ইলা-হা ইল্লা-আনতা ওয়াহ’দাকা লা-শারিকা লাকাল মান্না-ন, ইয়া বাদিআ’স্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম। ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি। কারণ তুমিই প্রশংসার যোগ্য। তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তুমি হান্নান ও মান্নান (দয়ালু ও দাতা)। তুমিই আসমান-যমীনের স্রষ্টা। হে শ্রেষ্ঠত্ব ও বদান্যতার অধিকারী। হে চিরঞ্জীব। হে বিশ্ব জাহানের ব্যবস্থাপক।

এই দুআ শুনে রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, এই ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার ইসমে আযমের মাধ্যমে দুআ করেছে। যার দ্বারা দুআ করলে তা কবুল করা হয় এবং কিছু প্রার্থনা করলে তা প্রদান করা হয়।

জামে তিরমিযী, দুআ অধ্যায়, হাদীস: ৩৫৪৪। সুনানে আবু দাউদ, কিতাবুস সালাত, হাদীস: ১৪৯৫।

মন্তব্য করুন