সুবহানা রাব্বিয়াল আলা অর্থ কি ও সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম অর্থ কি?

সুবহানা-রাব্বিয়াল-আলা-অর্থ-কি-ও-সুবহানা-রাব্বিয়াল-আজিম-অর্থ-কি

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা অর্থ কি এবং সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম অর্থ কি।

সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম অর্থ কি

سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ

উচ্চারণ: সুবহানা রব্বিয়াল আজিম।

অর্থ: আমার মহান প্রতিপালক পবিত্র, আমি তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।

সুবহানা রাব্বিয়াল আলা অর্থ কি

سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى

উচ্চারণ: সুবহানা রব্বিয়াল আ’লা।

অর্থ: মহান সুউচ্চ সত্তা আমার প্রতিপালক পবিত্র, আমি তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।

সুবহানা রাব্বিয়াল আলা ও সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম হাদিস

হুযায়ফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত:

তিনি বলেন, এক রাতে আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সাথে তাহাজ্জুদের সলাত আদায় করলাম। তিনি সূরাহ্‌ আল বাক্বারাহ্‌ পড়তে শুরু করলে আমি ভাবলাম তিনি হয়ত একশ আয়াত পড়ে রুকু’ করবেন। কিন্তু এর পরেও তিনি পড়ে চললেন। তখন আমি চিন্তা করলাম। তিনি এর (সূরা আল বাক্বারাহ্‌ ) দ্বারা পুরা দু’ রাকাত পড়ে সালাম ফিরাবেন। কিন্তু তিনি এরপরেও পড়তে থাকলে আমি ভাবলাম সূরাটি শেষ করে তিনি রুকু করবেন। কিন্তু এরপর তিনি সূরাহ নিসা পড়তে শুরু করলেন এবং তা পাঠ করলেন, অতঃপর তিনি সুরাহ্‌ আ-লি ‘ইমরান শুরু করলেন এবং তা পাঠ করলেন। তিনি থেমে থেমে ধীরে ধীরে পড়ছিলেন এবং তাসবীর আয়াত আসলে তাসবীহ পড়ছিলেন আর কিছু চাওয়ার আয়াত আসলে চাইলেন। যখন আশ্রয় প্রার্থনা করার কোন আয়াত পড়ছিলেন তখন প্রার্থনা করছিলেন।

অতঃপর তিনি রুকু’ করলেন। রুকু’তে তিনি বলতে থাকলেন, “সুবহা-না রাব্বিয়াল ‘আযীম” (আমার মহান প্রতিপালক পবিত্র, আমি তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করছি)। তাঁর রুকু’ ক্বিয়ামের মতই দীর্ঘ ছিল। এরপর “সামি আল্ল-হু লিমান হামিদাহ” (আল্লাহ শুনে থাকেন যে তাঁর প্রশংসা করে) বললেনঃ এরপর যতক্ষন সময় রুকু’ করেছিলেন প্রায় ততক্ষণ সময় পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকলেন। এরপর সাজদাহ্‌ করলেন। সাজদাতে তিনি বললেন, “সুবহা-না রাব্বিয়াল আ’লা” (মহান সুউচ্চ সত্তা আমার প্রতিপালক পবিত্র, আমি তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করছি)। তাঁর এ সাজদায়ও প্রায় ক্বিয়ামের সময়ের মতো দীর্ঘায়িত হলো। হাদীসটির বর্ণনা কারী বলেন যে, জারীর বর্ণিত হাদীসে এতটুকু কথা অধিক আছেঃ তিনি [রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকু’ থেকে উঠে] বললেন, “সামি’আল্ল-হু লিমান হামিদাহ, রব্বানা- লাকাল হাম্‌দ” (আল্লাহ শুনেন যে ব্যক্তি তাঁর প্রশংসা করে। হে আমাদের প্রতিপালক, তোমার জন্যই সব প্রশংসা)।

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

সহীহ মুসলিম: ১৬৯৯

হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত:

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সালাত আদায় করেছি। তিনি রুকু করতে গিয়ে বললেন, ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আজীম’ আর সিজদা করতে গিয়ে বললেন, ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা’।

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

সুনানে আন নাসায়ী: ১০৪৬

মন্তব্য করুন