দরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ. Durood Sharif Bangla

দুরুদ-শরীফ-বাংলা-উচ্চারণ.-দরুদ-শরীফ.-Durood-Sharif-Bangla

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে দুরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ, দুরুদে ইব্রাহীম, দুরুদে নারিয়া বিদআত, ছোট দরুদ শরিফ সমূহ, দুরুদ শরীফ পাঠের গুরুত্ব, দুরুদ শরীফের ফজিলত ইত্যাদি।

দরুদ অর্থ কি

দরুদ বা দুরুদ শব্দটি ফার্সি, যা মুসলমানদের মুখে বহুল ব্যবহারের কারণে ১৭শ শতাব্দীতে বাংলা ভাষায় অঙ্গীভূত হয়ে যায়। যার অর্থ হচ্ছে দয়া বা রহমত প্রার্থনা ইত্যাদি। দুরূদ শব্দের আরবি হচ্ছে সালাত। দুরুদ অর্থ হচ্ছে আল্লাহ তাআলার কাছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য রহমত, বরকত ও শান্তির জন্য দোয়া করা।

মহান আল্লাহ বলেন,

إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا

নিশ্চয় আল্লাহ নবীর প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তাঁর ফিরিশতাগণও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করে। হে বিশ্বাসীগণ! তোমরাও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা কর এবং তাকে উত্তমরূপে অভিবাদন কর। (সালাত ও সালাম পেশ কর)

সূরা আহযাব আয়াত নং ৫৬

সর্বশেষ্ঠ দুরুদ বা সর্ব উত্তম দরুদ হচ্ছে দুরুদে ইব্রাহীম, যেটা আমরা সালাতে পড়ে থাকি। নিচে দুরুদে ইব্রাহীম বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ সহ দেওয়া হলো। এবং সেটা ছাড়াও আরও দুরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ সহ আমরা উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ।

দুরুদে ইব্রাহীম আরবি

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ

اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ

দুরুদে ইব্রাহীম বাংলা উচ্চারণ

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিউ, ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা, ওয়া আলা আলি ইব্রাহীমা, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।

আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মদিউ, ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা বারাকতা আলা ইব্রাহীমা, ওয়া আলা আলি ইব্রাহীমা, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।

দুরুদে ইব্রাহীম বাংলা অর্থ

হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করুন, যেরূপ আপনি রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহীম (আঃ) এবং ইবরাহীম (আঃ)-এর বংশধরদের উপর। নিশ্চয়ই আপনি অতি প্রশংসিত, অত্যন্ত মর্যাদার অধিকারী।

হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বংশধরদের উপর বরকত দান করুন যেরূপ আপনি বরকত দান করেছেন ইবরাহীম (আঃ) এবং ইবরাহীম (আঃ)-এর বংশধরদের উপর। নিশ্চয়ই আপনি অতি প্রশংসিত, অত্যন্ত মর্যাদার অধিকারী।

ছোট দরুদ শরীফ

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ

আল্লাহুম্মা সল্লি আ’লা মুহা’ম্মাদিওঁ-ওয়া আ’লা আলি মু’হাম্মাদ।

হে আল্লাহ! আপনি মুহা’ম্মদ এবং তাঁর পরিবার-পরিজনদের উপর রহমত বর্ষণ কর।

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأُمَوِيُّ، فِي حَدِيثِهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، قَالَ: سَأَلْتُ زَيْدَ بْنَ خَارِجَةَ قَالَ: أَنَا سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: ” صَلُّوا عَلَيَّ وَاجْتَهِدُوا فِي الدُّعَاءِ، وَقُولُوا: اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ “

যায়দ ইবনে খারিজা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, তোমরা আমার উপর দরূদ পাঠ কর এবং বেশি বেশি দোয়া কর আর তোমরা বলঃ হে আল্লাহ! আপনি মুহা’ম্মদ এবং তাঁর পরিবার-পরিজনদের উপর রহমত বর্ষণ কর।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

সবচেয়ে ছোট দরুদ শরীফ

صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম।

আল্লাহ তাঁর (মুহা’ম্মদের) প্রতি সালাত (দয়া) ও সালাম (শান্তি) বর্ষণ করুন।

দুরুদ শরীফ পাঠের গুরুত্ব

হাদিস নং ১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ صَالِحٍ، مَوْلَى التَّوْأَمَةِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَا جَلَسَ قَوْمٌ مَجْلِسًا لَمْ يَذْكُرُوا اللَّهَ فِيهِ وَلَمْ يُصَلُّوا عَلَى نَبِيِّهِمْ إِلاَّ كَانَ عَلَيْهِمْ تِرَةً فَإِنْ شَاءَ عَذَّبَهُمْ وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَعْنَى قَوْلِهِ تِرَةً يَعْنِي حَسْرَةً وَنَدَامَةً ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْمَعْرِفَةِ بِالْعَرَبِيَّةِ: التِّرَةُ هُوَ الثَّأْرُ.

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে সমস্ত লোক কোন দরবারে বসেছে অথচ তারা আল্লাহ তা‘আলার যিক্‌র করেনি এবং তাদের নাবীর প্রতি দরূদও পড়েনি, তারা বিপদগ্রস্ত ও আশাহত হবে। আল্লাহ তা‘আলা চাইলে তাদেরকে শাস্তিও দিতে পারেন কিংবা মাফও করতে পারেন।

তিরমিজি ৩৩৮০

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

হাদিস নং ২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا رِبْعِيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ رَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَىَّ وَرَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ دَخَلَ عَلَيْهِ رَمَضَانُ ثُمَّ انْسَلَخَ قَبْلَ أَنْ يُغْفَرَ لَهُ وَرَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ أَدْرَكَ عِنْدَهُ أَبَوَاهُ الْكِبَرَ فَلَمْ يُدْخِلاَهُ الْجَنَّةَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَأَظُنُّهُ قَالَ أَوْ أَحَدُهُمَا ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَأَنَسٍ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَرِبْعِيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ هُوَ أَخُو إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ وَهُوَ ثِقَةٌ وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ ‏.‏ وَيُرْوَى عَنْ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالَ إِذَا صَلَّى الرَّجُلُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَرَّةً فِي الْمَجْلِسِ أَجْزَأَ عَنْهُ مَا كَانَ فِي ذَلِكَ الْمَجْلِسِ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তার নাক ভূলুন্ঠিত হোক যার কাছে আমার নাম উল্লেখিত হল, কিন্ত সে আমার উপর দরূদ পাঠ করেনি। ভুলুন্ঠিত হোক তার নাক যার নিকট রমযান মাস এলো অথচ তার গুনাহ্‌ মাফ হয়ে যাওয়ার পূর্বেই তা পার হয়ে গেল। আর ভূলুন্ঠিত হোক তার নাক যার নিকট তার বাবা-মা বৃদ্ধে উপনিত হলো, কিন্ত তারা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করায়নি (সে তাদের সঙ্গে ভাল আচরণ করে জান্নাত অর্জন করেনি)। আবদুর রহমানের রিওয়াইয়াতে কিংবা ‘‘যে কোন একজন’’ কথাটুকুও আছে।

তিরমিজি ৩৫৪৫, মিশকাত (৯২৭), তা’লীকুর রাগীব (২/২৮৩), নাবীর উপর দরূদ পাঠের ফযীলাত (১৬), মুসলিম হাদীসের শেষ অংশ বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

হাদিস নং ৩

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ أَبِي عَلِيٍّ الْجَنْبِيِّ، عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ، قَالَ بَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاعِدًا إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ فَصَلَّى فَقَالَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهَ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ عَجِلْتَ أَيُّهَا الْمُصَلِّي إِذَا صَلَّيْتَ فَقَعَدْتَ فَاحْمَدِ اللَّهَ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ وَصَلِّ عَلَىَّ ثُمَّ ادْعُهُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ صَلَّى رَجُلٌ آخَرُ بَعْدَ ذَلِكَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَصَلَّى عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَيُّهَا الْمُصَلِّي ادْعُ تُجَبْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ رَوَاهُ حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ عَنْ أَبِي هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيِّ وَأَبُو هَانِئٍ اسْمُهُ حُمَيْدُ بْنُ هَانِئٍ وَأَبُو عَلِيٍّ الْجَنْبِيُّ اسْمُهُ عَمْرُو بْنُ مَالِكٍ ‏.

ফাযালাহ্‌ ইবনু ‘উবাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মাসজিদে) বসা অবস্থায় ছিলেন। সে সময় জনৈক লোক মাসজিদে প্রবেশ করে নামায আদায় করল, তারপর বলল, “হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও এবং আমার প্রতি দয়া কর”। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে নামাযী! তুমি তো তড়িঘড়ি করলে। যখন তুমি নামায শেষ করে বসবে সে সময় শুরুতে আল্লাহ তা’আলার যথোপযুক্ত প্রশংসা করবে এবং আমার উপর দরূদ ও সালাম প্রেরণ করবে, তারপর আল্লাহ তা’আলার নিকটে দু’আ করবে।

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর অপর লোক এসে নামায আদায় করে প্রথমে আল্লাহর তা’আলার প্রশংসা করল, তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর দরূদ ও সালাম পেশ করল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেন, হে নামাযী! এবার দু’আ কর ক্ববূল করা হবে।

তিরমিজি ৩৪৭৬, সহীহ আবূ দাঊদ (হাঃ ১৩৩১)।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

দুরুদ শরীফের ফজিলত

১. একবার দরূদ পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা দশবার রহমত নাযিল করেন, দশটি গুনাহ ক্ষমা করেন এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।

عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ صَلّى عَلَيَّ صَلَاةً وَاحِدَةً صَلَّى اللّهُ عَلَيْهِ عَشْرَ صَلَوَاتٍ وَحُطَّتْ عَنْهُ عَشْرُ خَطِيئَاتٍ وَرُفِعَتْ لَهٗ عَشْرُ دَرَجَاتٍ. رَوَاهُ النِّسَآئِىُّ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তা’আলা তার উপর দশবার রাহমাত নাযিল করবেন। তার দশটি গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে, আর আল্লাহর নৈকট্যের জন্য দশটি মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়া হবে।

মিশকাত হাদিস নং ৯২২, নাসায়ী হাদিস নং ১২৯৭

হাদিসের মানঃ সহিহ

২. বেশী বেশী দরুদ পাঠ করা কিয়ামতের দিন রাসূল করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নৈকট্য লাভের কারণ।

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ اَوْلَى النَّاسِ بِى يَوْمَ الْقِيَامَةِ اَكْثَرُهُمْ عَلَىَّ صَلَوةً. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ

ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু, আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যারা আমার প্রতি বেশী বেশী দরূদ পাঠ করবে তারাই ক্বিয়ামাতের দিন আমার বেশী নিকটে হবে।

মিশকাত হাদিস নং ৯২৩, তিরমিজি হাদিস নং ৪৮৪

হাদিসের মানঃ হাসান লিগাইরিহি

৩. দরূদ শরীফ গুণাহ ক্ষমা হওয়া এবং সকল দুঃখ-কষ্ট ও বিষন্নতা থেকে মুক্তি অর্জনের উপায়।

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنِ الطُّفَيْلِ بْنِ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا ذَهَبَ ثُلُثَا اللَّيْلِ قَامَ فَقَالَ ‏”‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ اذْكُرُوا اللَّهَ اذْكُرُوا اللَّهَ جَاءَتِ الرَّاجِفَةُ تَتْبَعُهَا الرَّادِفَةُ جَاءَ الْمَوْتُ بِمَا فِيهِ جَاءَ الْمَوْتُ بِمَا فِيهِ ‏”‏ ‏.‏

قَالَ أُبَىٌّ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُكْثِرُ الصَّلاَةَ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلاَتِي فَقَالَ ‏”‏ مَا شِئْتَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ الرُّبُعَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ النِّصْفَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَالثُّلُثَيْنِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ أَجْعَلُ لَكَ صَلاَتِي كُلَّهَا ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِذًا تُكْفَى هَمَّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

উবাই ইবনে কাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাতের দুই-তৃতীয়াংশ চলে যাওয়ার পর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘুম থেকে জেগে দাঁড়িয়ে বলতেনঃ হে মানবগণ! তোমরা আল্লাহ্‌ তা’আলাকে স্মরণ কর, তোমরা আল্লাহ্‌ তা’আলাকে স্মরণ কর। কম্পন সৃষ্টিকারী প্রথম শিঙ্গাধ্বনি এসে পড়েছে এবং এর পরপর আসবে পরবর্তী শিঙ্গাধ্বনি। মৃত্যু তার ভয়াবহতা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে, মৃত্যু তার ভয়াবহতা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। উবাই (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি তো খুব অধিক হারে আপনার প্রতি দরুদ পাঠ করি। আপনার প্রতি দরুদ পাঠের জন্য আমি আমার সময়ের কতটুকু খরচ করবো? তিনি বললেন, তুমি যতক্ষণ ইচ্ছা কর।

আমি বললাম, এক-চতুর্থাংশ সময়? তিনি বললেন, তুমি যতটুকু ইচ্ছা কর, তবে এর চেয়ে অধিক পরিমাণে পাঠ করতে পারলে এতে তোমারই মঙ্গল হবে। আমি বললাম, তাহলে আমি কি অর্ধেক সময় দরুদ পাঠ করবো? তিনি বললেন, তুমি যতক্ষণ চাও, যদি এর চেয়েও বাড়াতে পারো সেটা তোমার জন্যই কল্যাণকর। আমি বললাম, তাহলে দুই-তৃতীয়াংশ সময় দরুদ পাঠ করবো? তখন তিনি বললেন, তুমি যতক্ষণ ইচ্ছা কর, তবে এর চেয়েও বাড়াতে পারলে তোমারই ভাল। আমি বললাম, তাহলে আমার পুরো সময়টাই আপনার দরুদ পাঠে কাটিয়ে দিব? তিনি বললেনঃ তোমার চিন্তা ও কষ্টের জন্য তা যথেষ্ট হবে এবং তোমার পাপসমূহ ক্ষমা করা হবে।

তিরমিজি ২৪৫৭, সহীহাহ ৯৫৪, ফাযলুস সালাত আলান নাবী ১৩,১৪।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

৪. রসূল কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য দরুদ পাঠ কারীর উপর আল্লাহ তা’য়ালা রহমত অবতীর্ণ করেন আর তাকে সালাম দাতার উপর শান্তি বর্ষণ করেন।

عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ ( قَالَ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاتَّبَعْتُهُ حَتَّى دَخَلَ نَخْلاً فَسَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ حَتَّى خِفْتُ أَوْ خَشِيتُ أَنْ يَكُونَ اللَّهُ قَدْ تَوَفَّاهُ أَوْ قَبَضَهُ، قَالَ: فَجِئْتُ أَنْظُرُ فَرَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ: «مَا لَكَ يَا عَبْدَ الرَّحْمنِ؟» قَالَ: فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ: «إِنَّ جِبْرِيلَ -عَلَيْهِ السَّلَام- قَالَ لِي: أَلَا أُبَشِّرُكَ، إِنَّ اللَّهَ -عَزَّ وَجَلَّ- يَقُولُ لَكَ: مَنْ صَلَّى عَلَيْكَ صَلَّيْتُ عَلَيْهِ وَمَنْ سَلَّمَ عَلَيْكَ سَلَّمْتُ عَلَيْهِ». ( حم, هق, يع ) حسن لغيره

আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হলেন, আমি তার অনুগামী হলাম, তিনি একটি খেজুর বাগানে ঢুকে সেজদা করলেন, সেজদা এত দীর্ঘ করলেন যে আমি আশঙ্কা করলাম আল্লাহ তাকে তো মৃত্যু দেন নি! তিনি বলেনঃ আমি দেখার জন্য আসলাম, অতঃপর তিনি মাথা তুললেন, তিনি বললেনঃ “হে আব্দুর রহমান কি হয়েছে তোমার?” তিনি বলেনঃ আমি তাকে তা শুনালাম, অতঃপর তিনি বললেনঃ “জিবরিল (আলাইহিস সালাম) আমাকে বলেছেনঃ আমি কি তোমাকে সুসংবাদ দেব না, আল্লাহ তা‘আলা তোমাকে বলেনঃ যে ব্যক্তি তোমার ওপর দরূদ পাঠ করবে আমি তার ওপর দরূদ পাঠ করব, যে তোমার ওপর সালাম পাঠ করবে আমি তার ওপর সালাম প্রেরণ করব।

সহিহ হাদিসে কুদসি ১৩৩, আহমদ, বায়হাকি ও আবু ইয়ালা

হাদিসের মানঃ হাসান লিগাইরিহি

৫. সকাল-বিকাল দশ বার করে দরুদ পড়া, রাসূল কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুপারিশ অর্জনের বড় কারণ।

আবু দারদা (রাঃ) বলেনঃ নবী কারীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে দশ বার দরূদ পড়তে এবং সন্ধ্যায় দশবার দরূদ পড়বে সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ লাভে ধন্য হবে।

ত্বাবরানী

হাদিসের মানঃ হাসান

৬. দরূদ পাঠ করা দুআ গ্রহণযোগ্য হওয়ার কারণ।

حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، سُلَيْمَانُ بْنُ سَلْمٍ الْمَصَاحِفِيُّ الْبَلْخِيُّ أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، عَنْ أَبِي قُرَّةَ الأَسَدِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ إِنَّ الدُّعَاءَ مَوْقُوفٌ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ لاَ يَصْعَدُ مِنْهُ شَيْءٌ حَتَّى تُصَلِّيَ عَلَى نَبِيِّكَ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, দু’আ আকাশ যমিনের মধ্যবর্তী স্থানে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে, তোমার রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি যতক্ষণ তুমি দুরূদ পাঠ না কর ততক্ষণ তার কিছুই উপরে উঠে না।

তিরমিজি ৪৮৬, সহীহাহ ২০৫৩

হাদিসের মানঃ হাসান

৭. একবার দরুদ পাঠ কারীর উপর আল্লাহ তাআলা দশটি রহমত নাযিল করেন। আর একবার সালাম কারীর উপর দশটি শান্তি বর্ষণ করেন।

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ مَنْصُورٍ الْكَوْسَجُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَفَّانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، قَالَ: قَدِمَ عَلَيْنَا سُلَيْمَانُ، مَوْلَى الْحَسَنِ ابْنِ عَلِيٍّ زَمَنَ الْحَجَّاجِ فَحَدَّثَنَا، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَ ذَاتَ يَوْمٍ وَالْبُشْرَى فِي وَجْهِهِ، فَقُلْنَا: إِنَّا لَنَرَى الْبُشْرَى فِي وَجْهِكَ، فَقَالَ: ” إِنَّهُ أَتَانِي الْمَلَكُ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّ رَبَّكَ يَقُولُ: أَمَا يُرْضِيكَ أَنَّهُ لَا يُصَلِّي عَلَيْكَ أَحَدٌ إِلَّا صَلَّيْتُ عَلَيْهِ عَشْرًا، وَلَا يُسَلِّمُ عَلَيْكَ أَحَدٌ، إِلَّا سَلَّمْتُ عَلَيْهِ عَشْرًا “

আবু তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন সানন্দে আমাদের কাছে আসলেন। আমরা বললাম, (আজ) আমরা আপনার চেহারায় প্রফুল্লতা দেখছি! তিনি বললেন, আমার কাছে (একজন) ফেরেশতা এসে বলল, হে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনার প্রভু বলছেন যে, আপনাকে কি একথা খুশি করবে না, যে ব্যক্তি আপনার উপর একবার দরূদ পড়বে আমি তাঁর উপর দশটি রহমত নাযিল করব। আর যে ব্যক্তি আপনার উপর একবার সালাম পাঠাবে আমি তার উপর দশটি শান্তি বর্ষণ করব (সালাম পাঠাব)।

নাসায়ী ১২৮৩

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

রাসুল (স.) জুমার দিন বেশি বেশি দরুদ শরীফ পড়তে নির্দেশ দিয়েছেন।

وَعَنْ أَوْسِ بْنِ أَوْسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: «إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَوْمُ الْجُمُعَةِ فِيهِ خُلِقَ ادَمُ وَفِيهِ قُبِضَ وَفِيْهِ النَّفْخَةُ وَفِيْهِ الصَّعْقَةُ فَأَكْثِرُا عَلَيَّ مِنَ الصَّلَاةِ فِيهِ فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ مَعْرُوضَةٌ عَليّ» فَقَالُوْا: يَا رَسُوْلَ الله وَكَيْفَ تُعْرَضُ صَلَاتُنَا عَلَيْك وَقَدْ أَرَمْتَ؟ قَالَ: يَقُولُونَ: بَلِيْتَ قَالَ: «إِنَّ اللّهَ حَرَّمَ عَلَى الْأَرْضِ أَجْسَادَ الْأَنْبِيَاءِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي الدَّعْوَاتِ الْكَبِيْرِ

আওস ইবনু আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: জুমুআর দিন হলো তোমাদের সর্বোত্তম দিন। এ দিনে আদামকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনে তাঁর রূহ কবয করা হয়েছে। এ দিনে প্রথম শিঙ্গা ফুৎকার হবে। এ দিন দ্বিতীয় শিঙ্গা ফুৎকার দেয়া হবে। কাজেই এ দিন তোমরা আমার উপর বেশী বেশী দরূদ পাঠ করবে। কারণ তোমাদের দরূদ আমার নিকট পেশ করা হবে।

সহাবীগণ আরয করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের দরূদ আপনার কাছে কিভাবে পেশ করা হবে? অথচ আপনার হাড়গুলো পচে গলে যাবে? বর্ণনাকারী বলেন, এ. (আরাম্‌তা) শব্দ দ্বারা সহাবীগণ [আরবি] (বালীতা) অর্থ বুঝিয়েছেন। অর্থাৎ আপনার পবিত্র দেহ পঁচে গলে মাটিতে মিশে যাবে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আল্লাহ তা’আলা নবী-রসূলদের শরীর মাটির জন্য হারাম করে দিয়েছেন (অর্থাৎ মাটি তাদের দেহ নষ্ট করতে পারবে না)।

আবূ দাঊদ ১০৪৭, নাসায়ী ১৩৭৪, ইবনু মাজাহ ১০৮৫, ১৬৩৬

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

বিঃ দ্রঃ- বিভিন্ন হাদীসে দরূদ পাঠের প্রতিদান বিভিন্ন ধরনের বর্ণিত আছে। তা বাস্তবে পাঠকারীর ইখলাছ, ঈমান ও পরহেজগারী এবং নিয়তের উপর নির্ভরশীল।

নিম্নে কয়েকটি দুরুদ শরীফের নাম দেওয়া হলো যেগুলো মিথ্যা, বানোয়াট

দুরুদে হাজারী

দরুদে নারিয়া

দুরুদে মাহী

দুরুদ তাজ

দুরুদে লাকী

দুরুদে তুনাজ্জিনা

দরুদে মুকাদ্দাস

দরুদে আকবর ইত্যাদি।

মন্তব্য করুন