Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

ওয়াহিদ নামের অর্থ কি? ওয়াহিদ শব্দের অর্থ কি?

ওয়াহিদ নামের অর্থ কি? ওয়াহিদ শব্দের অর্থ কি?

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে ওয়াহিদ নামের অর্থ কি বা ওয়াহিদ শব্দের অর্থ কি।

ওয়াহিদ নামের অর্থ কি

আল ওয়াহিদ আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। এ নামের অর্থ একক, অদ্বিতীয়। মহান আল্লাহর কোন দোসর নেই, শরিক নেই, সঙ্গী নেই, জনক নেই, সন্তান নেই, সদৃশ নেই, নযীর নেই। সমস্ত ব্যাপারে তিনি একক সত্ত্বা।

মহান আল্লাহ বলেন,

বল, সাক্ষী হিসাবে কোন জিনিস সর্বশ্রেষ্ঠ? তুমি বল আল্লাহ। তিনিই আমার ও তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সাক্ষী। আর এই কোরআন আমার নিকট প্রেরিত হয়েছে যেন তোমাদেরকে এবং যার নিকট এটি পৌঁছবে তাদেরকে এ দ্বারা আমি সতর্ক করি। তোমরা কি সাক্ষ্য দাও যে, তিনিই তো একক উপাস্য এবং তোমরা যে অংশীদার স্থাপন কর তা হতে আমি নির্লিপ্ত। (সুরা আনআম: আয়াত—১৯)

আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করতে ইচ্ছা করলে তিনি তার সৃষ্টির মধ্যে যাকে ইচ্ছা মনোনীত করতে পারতেন। পবিত্র ও মহান তিনি; তিনিই আল্লাহ এক, পরাক্রমশালী। (সুরা যুমার: আয়াত—৪)

তিনি ইউসুফ (আ:) এর উক্তি উদ্ধৃত করে বলেন,

হে আমার কারা সঙ্গীদ্বয়, ভিন্ন ভিন্ন বহু প্রতিপালক শ্রেয়, না পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? (সুরা ইউসুফ: আয়াত—৩৯)

তিনি তার শেষ নবী (স:) কে আদেশ করে বলেন,

বল আমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র এবং আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই, যিনি এক, পরাক্রমশালী। (সুরা সদ: আয়াত—৬৫)

মহান আল্লাহ আরো বলেন,

তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য, তিনি ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই, তিনি চরম করুণাময়, পরম দয়ালু। (সুরা বাকারা: আয়াত—১৬৩)

আল ওয়াহিদ নাম সম্বলিত এই আয়াতটিকে ইসমে আযম বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এ বিশ্বে যদি দ্বিতীয় কোন উপাস্য থাকত, তাহলে তাতে বিপরযয় দেখা দিতো। মহান আল্লাহ সে কথার সাক্ষ্য দিয়ে বলেন,

যদি আল্লাহ ব্যতীত আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে বহু উপাস্য থাকত তাহলে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত। সুতরাং ওরা যে বর্ণনা দেয়, তা থেকে আরশের অধিপতি আল্লাহ পবিত্র, মহান। (সুরা আম্বিয়া: আয়াত—২২)

তিনি আরো বলেন,

আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি এবং তার সাথে অপর কোন উপাস্য নেই, যদি থাকতো তাহলে প্রত্যেক উপাস্য স্বীয় সৃষ্টি নিয়ে পৃথক হয়ে যেত এবং একে অপরের উপর প্রধান্য বিস্তার করত। তারা যা বলে তা হতে আল্লাহ কত পবিত্র। (সুরা মু’মিনুন: আয়াত—৯১)

এবং তিন বলো না, নিবৃত হও, এটা তোমাদের জন্যই ভাল, আল্লাহই তো একমাত্র ইলাহ। (সুরা আন নিসা: আয়াত—১৭১)

বল, প্রত্যেকটি জিনিসের স্রষ্টা একমাত্র আল্লাহ, তিনি একক ও সবার উপর পরাক্রমশালী। (সুরা রাদ: আয়াত—১৬)

এবং সবাই এক মহা পরাক্রমশালী আল্লাহর সামনে উন্মুক্ত হয়ে হাযির হবে। (সুরা ইব্রাহীম: আয়াত—৪৮)

এদেরকে বল, আমার কাছে যে ওহী আসে তা হচ্ছে এই যে, কেবলমাত্র এক ইলাহই তোমাদের ইলাহ। (সুরা আম্বিয়া: আয়াত—১০৮)

কাজেই, তোমাদের ইলাহও সে একজনই এবং তোমরা তারই ফরমানের অনুগত হয়ে যাও। (সুরা হজ্জ: আয়াত—৩৪)

আল ওয়াহিদ নামের মাঝে আল্লাহর একত্ববাদের ব্যাপক জ্ঞান বিদ্যমান রয়েছে। এ নামটি শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই। কারন যে অর্থে তিনি ওয়াহিদ বা একক, অদ্বিতীয় সেই অর্থে আর কেউ একক বা অদ্বিতীয় নয়। অতএব তিনিই শুধুমাত্র ওয়াহিদ বা একক, অদ্বিতীয়। তাই এই নামটি অন্য কারো জন্য সাব্যস্ত করা বৈধ হবে না। এই নামে কারও নাম রাখাও যাবে না। নাম রাখতে হবে আব্দুল ওয়াহিদ। ওয়াহিদ নামটি কোরআনে মোট ২২ বার উল্লেখিত হয়েছে।

Share the Post

Rate the Post

Rating Summary

0.0
0.0 out of 5 stars (based on 0 reviews)
Excellent0%
Very good0%
Average0%
Poor0%
Terrible0%

Latest Reviews

There are no reviews yet. Be the first one to write one.

Related posts

Latest Post

Scroll to Top